• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম
বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

বরগুনার বেতাগীতে বিএনপির উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি গঠনে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ ও কেন্দ্রীয় নেতার ছবিতে জুতা ও ঝাড়ু পেটা করেছেন বিএনপির পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার খাস কাঁচারি মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এ সময় বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফিরোজ-উজ্জামান মামুন মোল্লার ছবিতে জুতা ও ঝাড়ু পেটা করে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ২ আগস্ট বেতাগী উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। এতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি ও ১৪ সদস্য বিশিষ্ট পৌর আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। তাদের অভিযোগ ওই কমিটিতে ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীদের পদপদবী না দিয়ে টাকার বিনিময় পকেট কমিটি দেওয়া হয়েছে।

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান কবির।

শাহজাহান কবির বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতা মামুন মোল্লা একসময় ছাত্রলীগ করতেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা জাতীয় পার্টি থেকে এসে বিএনপিতে যোগদান করেছেন। তারা ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে জানে না। তারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে বেতাগী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি দিয়েছেন। ১১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ পাঁচজনই বিতর্কিত আওয়ামীপন্থী। আমরা এই কমিটি বাতিল চাই।”

এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ্জামান মামুন মোল্লার বলেন, “আমাকে নিয়ে বিভ্রান্তমূলক, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। কমিটি অনুমদন দিয়েছে জেলা বিএনপি। শাহজাহান ভাইয়ের যদি কোনো অভিযোগ থাকতো তাহলে তা দলীয় ফোরামে জানাতে পারত। রাস্তায় মানুষের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে তিনি কাণ্ডজ্ঞানহীন নেতার পরিচয় দিয়েছে। বড় দলে কমিটি হলে এক গ্রুপ লাফালাফি করেই। এরা আবার থেমে যায়।”

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা বলেন, “যারা রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে তারা অসাংগঠনিক লোক। টাকার বিনিময়ে কমিটি দিয়েছি এমন অভিযোগ মিথ্যা। শাহজাহান কবির দুইবার বহিষ্কৃত ছিল। তাকে উপজেলা কমিটিতে আহ্বায়ক না করায় তিনি এসব করছেন। আমরা তাকে শোকজ করব।”

Link copied!