বরিশালেও কাঁচা মরিচের ঝাল রসগোল্লা ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বাজারে নতুন এই মিষ্টি এনেছে নগরীর সদররোডের সকাল-সন্ধ্যা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার।
শুরু থেকেই ক্রেতাদের মাঝে সকাল-সন্ধ্যা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু এই কাঁচা মরিচ মিশ্রিত রসগোল্লা নগরীতে বাজারজাত করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
যারা এই রসগোল্লার স্বাদ নিয়েছেন তাদের মুখ থেকে সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে নতুন এই কাঁচাঝাল (মরিচ) রসগোল্লার স্বাদ নেওয়ার জন্য সকাল-সন্ধ্যা মিষ্টির দোকানে বিভিন্নস্থান থেকে ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেন।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষামূলক এই মিষ্টি তৈরি হলেও আমরা আজকে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এই রসগোল্লার স্বাদ গ্রহণ করি, বেশ ভালোই লেগেছে। তারা বলেন, এমনিতেই আমরা সবসময় মিষ্টি খেয়ে থাকি, তার মধ্যে ছানা দিয়ে তৈরি এই রসগোল্লাটি ছানার পাশাপাশি কাঁচা মরিচের ঝাল দিয়ে তৈরি করার কারণে নতুন একটি স্বাদ এসেছে।
এ বিষয়ে সকাল-সন্ধ্যা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু বলেন, “কাঁচা ঝাল দ্বারা তৈরি রসগোল্লাটি দেশে কুমিল্লায় প্রথম তৈরি হয়। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমিই প্রথম বরিশালে তৈরি করে বাজারে ছাড়ার পর নগরীতে বেশ সাড়া পড়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই রসগোল্লা তৈরিতে খাটি ছানা ও সুগারের পাশাপাশি ব্লেন্ডার দিয়ে কাঁচা মরিচ মেশানো হয়। পরে ইলেকট্রিক্যাল মেশিনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ রসগোল্লা তৈরি করা হয়। প্রথম দিনেই ৩০ কেজি মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। যা অন্য নামি-দামী মিষ্টি থেকেও বেশি।”
কুমিল্লার রেলিশ বেকারিতে প্রথম ঝাল রসগোল্লা তৈরি করা হয়। ওই বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়। এরপর নেত্রকোণায় বালিশ মিষ্টির পাশাপাশি ঝড় তোলে সবুজ রঙের টক-ঝাল মিষ্টি রসগোল্লা।
নেত্রকোণা পৌর শহরে আরামবাগ রোডে দুর্গা কেবিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই কাঁচা মরিচের গোল্লা তৈরি করে মানুষের নজর কাড়ে। তাদের দেখাদেখি পটুয়াখালীর গলাচিপায় সবুজ রঙের ঝাল রসগোল্লা তৈরি করে নিপু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। এদের দেখাদেখি এবার বরিশাল নগরীর বিশু ঘোষ তৈরি করলেন কাঁচা মরিচের গোল্লা।