ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, “দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা, জাতির পিতার স্বপ্নের ওপর আঘাত করা।”
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার আওতায় আন্তধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফরিদুল হক খান।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বলেন, “গুজব ছড়িয়ে ফেসবুক-ইউটিউবে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ধর্মের কথা শুনলে মানুষের অন্তর নরম হয়ে যায়। ওয়াজ মাহফিলে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো দলের পক্ষে প্রচারণা কিংবা হিংসাত্মক বক্তব্য রাখা যাবে না। এরূপ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, এর মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও নৈতিকতা তথা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, মানবিকতা ও সহনশীলতার উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাদান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল-শাহীন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তকর্তা ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনদ কুমার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা।
সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইমাম পরিষদের নেতা, আলেম ওলামা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা অংশ নেন।