নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আলোচিত তুহিন হাওলাদার মিল্টন ও পারভেজকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, “গত ১২ জানুয়ারি বন্দর থেকে বাপ্পি সিকদারকে ও গত ১৬ জানুয়ারি বন্দরের ঘারমোরা থেকে আমান ভূঞাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া আমান ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহারের আদালতে হত্যাকাণ্ডের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি এজাহারনামীয় আসামিসহ ১০-১২ জনের নাম প্রকাশ করেছেন। এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এবং ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাবে না।”
২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাতে ফতুল্লার কাশিপুর খিলমার্কেট হোসাইনী নগর এলাকায় রাজিবের রিকশার গ্যারেজের একটি কক্ষের মধ্যে তুহিন হাওলাদার মিল্টন (৩৫) ও পারভেজকে (২৪) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার জন্য গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেন। স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পরিবারের কেউ থানায় মামলা করতে পারেনি। পরে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলাটি থানা পুলিশ ও ডিবি তদন্তের ৯ মাস পর ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে জানতে পারে মামলার এজাহারনামীয় ৬ জন আসামি ছাড়া বাকি সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে স্থায়ী জামিনে রয়েছেন। এরপর পিবিআইয়ের এসআই শাকিল হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি পর্যায়ক্রমে শহিদ, মানিক ও নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন। অন্য় আসামিরা আত্মগোপন করেন।
পিবিআইয়ের এসআই শাকিল হোসেন বলেন, “তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”