জামালপুরের মেলান্দহে এক নারীর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই জামালপুর। নিহত ওই নারীর নাম মৌসুমী আক্তার নার্গিস (২০)। তিনি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বত্রিশহাজারি গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই নারীর সাবেক স্বামী জাহিদ হাসানকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় ইসলামপুর উপজেলার নাপিতেরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জাহিদ জেলার ইসলামপুর উপজেলার নাপিতেরচর গ্রামের নিধানু শেখের ছেলে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জামালপুর পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার এম এম সালাহ উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত জাহিদ হাসানকে ইসলামপুর উপজেলার নাপিতেরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ জানায়, নার্গিসের সঙ্গে সাত মাস আগে গাজীপুরের চেরাগ আলী দত্তপাড়ায় এলাকায় পরিচয় হয় তার। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের বিয়ে হয়। মাসখানেক আগে নার্গিস স্বামী জাহিদ হাসানকে তালাক দিয়ে চলে যান। এরপর পরও তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ চলতে থাকে এবং জাহিদ পুনরায় নার্গিসকে বিয়ের জন্য বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাহিদ ও নার্গিস আশুলিয়ার জিরানি বাজারে দেখা করেন। এরপর তারা সেখান থেকে জামালপুর যান। রাত ৮টার দিকে জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে নামেন। সেখান থেকে অটোরিকশা দিয়ে মেলান্দহ থানার ডেফলা ব্রিজের নিকট নিয়ে যান এবং পরিকল্পিতভাবে নার্গিসের মাথায় লোহার রড ও ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে লাশ ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যান জাহিদ।
পুলিশ সুপার এম এম সালাহ উদ্দীন বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহিদ হাসান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ডেফলা ব্রিজের উত্তরের পরিত্যক্ত এক ইটভাটা থেকে নার্গিস আক্তারের লাশ উদ্ধার করে মেলান্দহ থানা-পুলিশ।