পাবনায় হেনা খাতুন নামের এক নারীকে হত্যার মামলায় রফিকুল ইসলাম রহিমকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে নুরুল ইসলাম নামের অপর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। উভয় আসামিকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে পাবনা জেলা দায়রা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি দেওয়ান মজনুল হক জানান, ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট সদর উপজেলার বলরামপুর পদ্মা নদী থেকে বিধবা নারী হেনা বেগমের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হেনা বেগমের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রফিুকুল ও রহিমকে আটক করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, রিকশা চালক রফিকুল বিধবা হেনা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে হেনা বেগম বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাতে অস্বীকৃতি জানান রফিকুল। পরে কৌশলে হেনা বেগমকে পদ্মা নদীর পাড়ে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে নুরুলের সহযোগিতায় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয় রফিকুল। এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আরো জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণ ও আসামিদের জবানবন্দীতে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত রফিকুলকে মৃত্যুদণ্ড ও নুরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি রফিকুল আদালতে উপস্থিত থাকলেও নুরুল পলাতক।