চুয়াডাঙ্গায় পরকীয়া সম্পর্কের বিষয় জেনে ফেলায় ইনজেকশনে বিষ প্রয়োগ করে নিজের নানাকে খুন করেছেন নাতনি কামনা খাতুন (২৫) এক নারী। এ ঘটনায় যুক্ত ছিলেন কামনা খাতুনের প্রেমিক রাশেদও।
পুলিশ জানিয়েছে, কামনা খাতুন চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুল ইসলামের আদালতে নানা সামসুল শেখকে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, দুই বছর আগে দামুড়হুদার দলিয়ার পুরের হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয় কামনা খাতুনের। কিন্তু এর মধ্যে তিনি রাশেদ নামের এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েন। এ সম্পর্কের কথা জেনে যান কামনার নানা সামসুল শেখ। কামনাকে বকাঝকাও করেন তিনি। পরে রাশেদের বুদ্ধিতেই ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঘুমন্ত নানার ঘাড়ে কীটনাশক ভর্তি ইনজেকশন পুশ করে কামনা। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যায় নানা সামসুল।
এদিকে সামসুল শেখ মৃত্যুর আগে হাসান হাসান বলে চিৎকার করেন। ফলে সন্দেহ গিয়ে পড়ে কামনার স্বামী হাসানের ওপর। এ ঘটনায় সামসুল শেখের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১ ডিসেম্বর হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরবর্তী কালে পুলিশের তদন্তে হত্যাকাণ্ডে কামনা ও রাশেরে বিষয়টি উঠে আসে। পুলিশের কাছে কামনা রাশেদকে নিয়ে নানাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।