পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধুর তিনটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে নির্বাচনী অফিসগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধু এই হামলার জন্য দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিন মালিথা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর আলম (আলম হাজীকে) অভিযুক্ত করেছেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম মধু বলেন, “বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা নৌকা প্রতীক না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। নীতি নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে জামায়াতের প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার ভোটার ও কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাতেই শুক্রবার রাতে অফিস ভাঙচুর করে নৌকা প্রতীক পুড়িয়েছে তারা। একই সঙ্গে গুলি ছুঁড়েও আমার কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও তারা কালো টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে। নির্বাচনী এলাকার বাইরের সন্ত্রাসী বাহিনী এনে এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই।”
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অযোগ্য ব্যক্তি দলের মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় জনগণের দাবিতে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনে জনসমর্থন না পেয়ে নৌকার প্রার্থী আমাকে জড়িয়ে অসত্য অভিযোগ করছে।”
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম হাজী বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমাকে রাজনৈতিক বলি বানানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।