পাবনায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আশায় স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দেন নুর-ঊন-নবী মণ্ডল দুলাল। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হওয়ার সে আশা পূরণ হলো না তার। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে। তিনি পান ৬ হাজার ৯২৭ ভোট। আর নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী মনোয়ার হোসেন মিঠু (ঘোড়া) পান ৮ হাজার ৯৫১ ভোট।
জানা যায়, মুজিব আদর্শ লালন করায় ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। রাজনৈতিক জীবনে খানমরিচ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্যে তিনি সবশেষে স্থানীয় ময়দানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে থাকা অবস্থায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।
২০১১ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকা অবস্থায় খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। চতুর্থধাপের নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হলে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর চেষ্টা চালান। অবশেষে দলের মনোনয়নও পান। এ সময় নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ার আশঙ্কায় নিজের দুই স্ত্রীকে দিয়ে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করিয়ে এলাকায় আলোচনার জন্ম দেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে বাদ না পড়লেও নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যেতে হয় তাকে। ফলে চেয়ারম্যান হওয়ার সাধ পূরণ হল না তার। অন্যদিকে অবসর নেওয়ায় চাকরিতেও আর ফিরতে পারবেন না। এতে করে দুই কূলই হারাতে হলো দুলাল মাস্টারকে।
এ বিষয়ে দুলাল মাস্টারের মতামত জানতে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি।