জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এলাকা জুড়ে লাল-সবুজে আবহ আর রং তুলি আঁচড়ে সেজেছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আর ধুয়ে মুছে রাখা হয়েছে শহীদ বেদিসহ স্তম্ভ। শহীদদের সম্মাননা জানাতে নিয়মিত চলছে তিন বাহিনীর কুজকাওয়াজের প্রস্তুতি।
বৃহস্পতিবার ১৬ ডিসেম্বর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর এসে বুধবার প্রথম দিনই সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
তাই মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেই সঙ্গে মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশ প্রতি বছর স্মৃতিসৌধে দায়িত্ব পালন করে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তায় তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্বরত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
আর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই মাস আগে থেকেই কাজে নেমেছে গর্ণপূত বিভাগ। বাহারি গাছে সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। রং তুলির আঁচড়ে সাজানো হয়েছে সিঁড়ি ও প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থান। গাছের সবুজ পাতা আর লাল ফুলে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশে পতাকা। সৌন্দর্য যেন কমতি নেই। আলোক সজ্জায় সেজেছে প্রধান ফটক থেকে ভেতরের প্রায় সব জায়গা।
এনিয়ে গর্ণপূত বিভাগের সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, বিজয় মাস ও সুবর্ণজয়ন্তী জন্য দুই মাস ধরে কাজ সাজ-সজ্জার কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রং তুলির কাজ শেষ হয়েছে । সেই সঙ্গে বিভিন্ন ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। আলোর সজ্জার কাজও শেষ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তাদের স্মরণ করা হবে বলে জানান তিনি।