• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৫৪৯, মৃত্যু ১


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ১২:৫৬ পিএম
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৫৪৯, মৃত্যু ১

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫৪৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ২১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলার করোনা-সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর আট ল্যাব ও অ্যান্টিজেন টেস্টে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৫৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৫৫০ জনের মধ্যে শহরের ৩৭৬ ও ১৪ উপজেলার ১৭৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ২৯,ফটিকছড়িতে ২৬, পটিয়ায় ২৫, রাউজানে ১৮, রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীতে ১৪ জন করে, সীতাকুণ্ডে ১৩, মিরসরাইয়ে ৯, আনোয়ারা ও সাতকানিয়ায় ৫ জন করে, সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশে ৪ জন করে এবং বাঁশখালীতে ৩ জন রয়েছেন। কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো নতুন সংক্রমিত মিলেনি। 

জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৯২। সংক্রমিতদের মধ্যে ৮৮ হাজার ১৮৩ জন শহরের ও ৩২ হাজার ৮০৯ জন গ্রামের। একই সময় করোনায় শহরের এক রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৯ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৫ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৭২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৯৬ ও গ্রামের ১১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহর ও গ্রামের ৬ জন করে আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২২৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৬৩ ও গ্রামের ৩০ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৭৩ জনের অ্যান্টিজেন টেস্টে গ্রামের ৫৪ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। 

নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩৩ ও গ্রামের ৩৭টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩১২ জনের নমুনায় শহরের ২০ ও গ্রামের ২৩ জন পজিটিভ হন। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষিত ২০৬ নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ৬টি ভাইরাসবাহক বলে চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথকেয়ার ল্যাবে ১৯২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৬ ও গ্রামের ৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ল্যাব এইডে ২টি নমুনার একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৮৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৮ জন আক্রান্ত বলে রিপোর্টে জানানো হয়। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি শেভরন, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি। 

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডিতে ২৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, চবিতে ১৭ দশমিক ৬৪, সিভাসুতে ৪০ দশমিক ৯৭, অ্যান্টিজেন টেস্টে ১৪ দশমিক ৪৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৮ দশমিক শূন্য ৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৭৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪ দশমিক ৩৭, এপিক হেলথকেয়ারে ২১ দশমিক ৮৭, ল্যাব এইডে ৫০ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

Link copied!