২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বধ্যভূমি, গণহত্যা স্থান, যুদ্ধস্থান ও শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
পুরাতন জেলখানা ঘাট, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, পাঁচরাস্তা শহীদ মিনার, বাহিরগোলা রেলব্রিজ, রেল কলোনি, ভাটপিয়ারী শালুয়াভিটা, শিয়ালকোল, চণ্ডিদাসগাতী, ছোনগাছা, ধিতপুর, কান্দাপাড়া, চুনিয়াহাটি, কামারখন্দ নান্দিনা স্কুল, উল্লাপাড়া চরিয়াশিকা, তাড়াশ আমবাড়িয়া, ইসলামিয়া কলেজ, ভিক্টোরিয়া স্কুল, সবুজ কানন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রানীগ্রাম স্কুল, জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়, হৈমবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, পি ডি পি স্কুল, মওলানা ভাসানী কলেজসহ প্রায় ৫০টি স্থানে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংগঠনের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে জনগণ ও সাধারণ শহীদ পরিবারের ভূমিকার যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় তাদের মধ্যে এক ধরণের অভিমান সৃষ্টি হয়েছে। আবার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জনগণের প্রচণ্ড আবেগ আছে। কমিটি চায় জনগণের অভিমান দূর করে মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে ফিরিয়ে আনতে। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বধ্যভূমি, গণহত্যা স্থান, যুদ্ধস্থান ও শহীদ মিনারে মোমবাতি জ্বালিয়ে জনগণের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে জাগিয়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকশিত করা।”
কমিটির সংগঠক নব কুমার কর্মকার বলেন, “২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন শহীদদের নামে কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ রোপন, বিভিন্ন রাস্তা ও স্থাপনার নাম শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নাম করণ এবং বিভিন্ন গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা এবং সাধারণের চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি কথা এই লেখা গুলি প্রকাশসহ মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিকে গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় দেশ পরিচালনা করার দাবিসহ সাধারণ শহীদদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটি গত পাঁচ বছর ধরে এই কর্মসূচি পালন করছি।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম জগলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জাল হোসেন বানু, শহিদুল আলম প্রমুখ।