মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই আর খাদি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত কুমিল্লা। এবার কুমিল্লায় এ দুটি ঐতিহ্যের পাশাপাশি ঝড় তুলতে এসেছে সবুজ রঙের ঝাল রসগোল্লা। মাতৃভাণ্ডারের রসমালাইয়ের পাশাপাশি এখন সেখানে রসিক মানুষের মন মাতাবে নতুন এ মিষ্টি। সবুজ রঙের এ রসগোল্লার স্বাদ একটু যে অন্য রকম, সেটা না বললেও বোঝা যায়। তবে ছানার সঙ্গে কাঁচা মরিচ যোগ করার পর এই রসগোল্লা যে ভীষণ ঝাল হয়, তা কিন্তু নয়।
ছানার সঙ্গে কাঁচা মরিচ মিশিয়ে ছেনে গোল গোল করে গোল্লা বানিয়ে চিনির শিরায় ডুবানো হয় বিশেষ এ রসগোল্লাকে। তারপর কেজি বা পিস অনুসারে বিক্রি করা হয়। অভিনব এ রসগোল্লা মুখে দিলে প্রথমে মিষ্টি তারপর ঝাল স্বাদ পাওয়া যায়। যারা কম মিষ্টির রসগোল্লা খেতে পছন্দ করেন, তারা এই মরিচ রসগোল্লার প্রধান ক্রেতা। তবে নতুন ধরনের মিষ্টি হওয়ায় সব শ্রেণির ক্রেতাই এখন এ মিষ্টি পছন্দ করছেন বলে জানা গেছে।
কুমিল্লায় এ মিষ্টি বাজারে এনেছে রেলিশ বেকারি ও কনফেকশনারি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। নতুন নতুন স্বাদের মিষ্টি বাজারে আনার জন্য খ্যাতি আছে প্রতিষ্ঠানটির। কুমিল্লা শহরে রেলিশ বেকারির মোট ৭টি শাখা আছে। তার মধ্যে কোতোয়ালি থানা রোড ও সদর দক্ষিণ পদুয়া বাজার বিশ্বরোডের শাখায় বর্তমানে এই ঝাল রসগোল্লা পাওয়া যাচ্ছে। বাকি শাখাগুলোতেও পাওয়া যাবে ক্রমান্বয়ে। প্রতি পিস কাঁচা মরিচ মিষ্টির দাম ৩০ টাকা, আর প্রতি কেজি মিষ্টির দাম ৩০০-৩২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
রেলিশ বেকারির স্বত্বাধিকারী মো. মহসিন হোসাইন সজীব দাবি করেন, ঝাল স্বাদের নতুন ধরনের এ মিষ্টি কুমিল্লায় তারাই প্রথম এনেছেন।
মো. মহসিন হোসাইন সজিব জানান, এক কেজিতে সবুজ রঙের ঝাল রসগোল্লা পাওয়া যায় ১৪টি। প্রতি কেজি মিষ্টির সঙ্গে থাকবে সমপরিমাণ শিরা। মাত্র পনেরো দিন আগে কাঁচা মরিচের ঝাল মিষ্টি বাজারে নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এর অভিনবত্বের জন্য এর মধ্যেই এটি হইচই ফেলে দিয়েছে মিষ্টিপ্রমীদের মধ্যে। ঝাল স্বাদের এ মিষ্টি আনার আগে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন মসলার ঘ্রাণযুক্ত মিষ্টি বাজারে আনে। সেগুলোরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।