মাগুরা জেলাকে শতভাগ করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় পথচারীদের জন্য ভ্রাম্যমাণ করোনার টিকাদান কেন্দ্র চালু করেছে জেলা প্রশাসন। যেখানে সব শ্রেণি-পেশার পথচারীদের আনা হচ্ছে গণটিকার আওতায়।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শহরের সৈয়দ আতর আলী রোড, কলেজ রোড, নতুন বাজার, ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড, চৌরঙ্গী পুলিশ সুপার কার্যালয় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ করোনার টিকাদান কেন্দ্রে পথচারীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকতে দেখা গেছে।
দুপুরে মাগুরা শহরের চৌরঙ্গী পুলিশ সুপার কার্যালয় এলাকায় দেখা গেছে, ভ্রাম্যমাণ টিকা কেন্দ্রের কর্মীরা ইজিবাইক চালক, রিকশাচালকসহ পথচারীদের যাদের পাচ্ছেন তাদের কাছে টিকা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইছেন। এ সময় টিকা নেননি এমন ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিকভাবে ওই কেন্দ্রে বসিয়ে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি একটি প্রমাণপত্র তাদের হাতে দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের জন্য এক মাস পর সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলছেন।
মাগুরা সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানিয়েছেন, শহরের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেখানে একইভাবে কোনো এলাকায় করোনা টিকা নেননি এমন ব্যক্তির সন্ধান পেলে দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা।
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, জেলাকে শতভাগ করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অব্যাহত করোনা টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলায় শুরু হয়েছে পথচারীদের গণটিকাদান কার্যক্রম। যেখানে প্রথম দিন শহরের ৫টি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রসহ জেলার ৪০টি গণটিকা কেন্দ্রে ১ ফেব্রুয়ারি ৯ হাজার ৭০২ জন নারী পুরুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ২ ফেব্রুয়ারি শহরের ৫টি কেন্দ্রসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ১৫ কেন্দ্রে একইভাবে পথচারীদের গণটিকা দেওয়া হয়েছে। এসব টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত করোনার এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। তিন দিনে ৫টি ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান আরও জানান, এ পর্যন্ত মাগুরা জেলায় মোট ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৪ হাজার ৩৭ জন। প্রথম ডোজ সমর্পণকারীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৪২ জন ও ১১ হাজার ৪২১ জন তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছে। জেলায় টিকা প্রদানের শতকরা হার প্রায় ৭০ শতাংশ।