ফেনীতে একই স্থানে বিএনপি ও যুবলীগ সভা আহ্বান করেছে। এ নিয়ে শহরে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই স্থানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ওয়াপদা মাঠে সভা ডেকেছে বিএনপি ও যুবলীগ। জেলা বিএনপির আয়োজনে দুপুর ২টা সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। অপর দিকে জেলা যুবলীগ দুপুর ১২টায় একই স্থানে কর্মিসভা আহ্বান করেছে।
জেলা বিএনপির সদস্যচিব আলাল উদ্দিন জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জেলায় মহাসমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসনের কাছে সভার অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়। তাতে শহরের মিজান ময়দান, ট্রাংক রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর অথবা শহরের ট্রাংক রোডে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের বিকল্প স্থানের অনুমতি চাওয়া হয়। পরে অনুষ্ঠানের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সভা করার জন্য স্থান হিসেবে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ওয়াপদা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়। কিন্তু ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল হাজারীর আকস্মিক মৃত্যু ও মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত জানাজার জন্য বিএনপির সমাবেশের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও স্থগিত ঘোষণা করা হয় এবং মঙ্গলবারের সমাবেশ বুধবার দুপুর ২টায় ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসন থেকে সভার পূর্ব অনুমতির জের ধরে আবারও জেলা প্রশাসনের কাছে বুধবার সভা করার জন্য দরখাস্ত দেওয়া হয়।
আলাল উদ্দিন আরও জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির সভা ভণ্ডুল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে একই স্থানে জেলা যুবলীগ কর্মিসভা ডেকেছে।
এদিকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব চৌধুরী জানান, তারা বুধবার দুপুর ১২টায় শহরের ওয়াপদা মাঠে কর্মিসভা আহ্বান করেছে। সভা অনুষ্ঠানের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনও করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান জানান, বিএনপিকে মঙ্গলবার ওয়াপদা মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার হয়েছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে সভা স্থগিত করা হয়। বুধবার সভা করার জন্য আবারও জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন তারা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের মতামত চেয়ে তা পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বুধবার দুপুরে ওই মাঠে সভা করার জন্য জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকেও আবেদন করা হয়েছে। তাদেরও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও অনুমতি না নিয়ে যদি উভয় পক্ষ একই মাঠে সভা করার চেষ্টা করে এবং উত্তেজনা ও অপ্রীতিকর বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দেওয়া ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।