নারায়ণগঞ্জের বন্দরের একটি ইটভাটা থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা তিন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাদের উদ্ধার করে বন্দর থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় ইটভাটার ম্যানেজার জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার শ্রমিকরা হলেন সাতক্ষীরার মোমরেজ শেখের ছেলে আবু বকর, আরশাদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন ও শহীদুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইটভাটার ৫ মালিক, লেবার সর্দার ও ম্যানেজারকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা করেছেন উদ্ধার হওয়া শ্রমিক মাজহারুল ইসলাম।
মাজহারুল জানান, বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ফনকুল এলাকার পিবিএম ইটভাটার মালিক আনিস, মোমেন, মোসলেম, আনার ও মামুন তিন মাস আগে এক হাজার ইট তৈরির পারিশ্রমিক হিসেবে তাদের তিনজনকে ৪০০ টাকা করে মজুরি দেওয়ার কথা বলে সাতক্ষীরা থেকে এখানে নিয়ে আসেন। তিন মাস কাজ করার পর শুধু খোরাকি ছাড়া তাদের আর কিছুই দেয়নি মালিকপক্ষ। মজুরি চাইলে গালমন্দ করা হয়।
এ অবস্থায় পাওনা টাকা চেয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বললে মালিকরা ইটভাটাসংলগ্ন ঝুপড়িতে তিনজনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে মঙ্গলবার ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সাহায্য চান তারা। পুলিশ শিকলবন্দি অবস্থায় তিন শ্রমিককে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ইটভাটায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা তিন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইটভাটার ৫ মালিকসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।