পাবনায় ইজিবাইক চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের সাত সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (৪ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।
এছাড়া ছিনতাই করা ১২টি ইজিবাইক, টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তাররা হলেন সুমন শেখ (৩০), বাচ্চু মিয়া (৪৫), বজলুর রহমান (২৪), হাসান আলী (২৫), শামীম মিয়া (২৫), শরিফুল ইসলাম (২৬), রফিকুল ইসলাম (২৪)। তাদের মধ্যে সুমন শেখ ছিনতাই ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী। তার বিরুদ্ধে তিনটি চুরি, অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রোকনুজ্জামান সরকার, এসআই অসিত কুমার বসাকসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম ও এসআই রাসেল কবিরসহ পাবনা সদর থানার একটি টিম ঈশ্বরদীতে অভিযান পরিচালনা করে। ইজিবাইকচালক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল হোতা সুমন শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, সুমনের দেওয়া তথ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয় পাবনা-কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার বিভিন্ন স্থানে। অভিযানে মোট ১২টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুমনসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর পাশে মহাসড়কসংলগ্ন পুকুরে ইজিবাইক চালক (মালিক) জাহাঙ্গীরের লাশ পাওয়া যায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে সদর থানার মনোহরপুর মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার বাম পাশে রইচ উদ্দিন (৬০) নামের এক ইজিবাইক চালকের লাশ পাওয়া যায়। এই দুটি মামলার রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় ছিনতাই, হত্যাসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এই চক্রের ৭ সদস্য। উদ্ধার হয় ১২টি চোরাই ইজিবাইক।