সিলেটে জ্বালানি তেলের সংকট সমাধান, পাম্পে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোসহ ছয় দফা দাবিতে ট্যাংক লরি নিয়ে মিছিলের মাধ্যমে আন্দোলনে নেমেছে সিলেট বিভাগীয় পেট্রল পাম্প, সিএনজি, এলপিজি, ট্যাংক-লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বুধবার (৯ মার্চ) প্রায় ২০০টি ট্যাংক লরি নিয়ে মিছিলের মাধ্যমে আন্দোলনে নামেন সংগঠনটির মালিক-শ্রমিকরা। মিছিলটি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ চত্বর থেকে শুরু হয়।
এর আগে গত সোমবার (৭ মার্চ) রাতে সংগঠনটির আহ্বায়ক সিরাজুল হোসেন আহমদ এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও মাত্র ৬০ হাজার লিটার তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যার সমাধানসহ সিলেটের বন্ধ থাকা গ্যাস ফিল্ডগুলো চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন পাম্পের মালিকেরা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি। এ জন্য তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো ওভারলোডের অজুহাতে সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ করা, অবিলম্বে সিলেট বিভাগের প্রতিটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো, সিলেট বিভাগে পেট্রল, ডিজেল, অকটেন সরবরাহ নিশ্চিত করা, সিলেটের প্রতিটি গ্যাস ফিল্ড থেকে ট্যাংক লরির ডেসপাস চালু করা, অবিলম্বে সিলেট বিভাগের প্রতিটি গ্যাস ফিল্ডস আগের মতো চালু করা এবং জ্বালানি ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সরকারের হয়রানি বন্ধ করা।
এ বিষয়ে সিরাজুল হোসেন আহমদ বলেন, “সিলেটের সিএনজি ও এলপিজি পাম্পের মালিকেরা দীর্ঘদিন এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছেন। দেশের অন্য কোনো জেলায় এমন সমস্যা নেই। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান করা না হলে সংগঠনের আওতায় বিভাগের প্রায় ২০০টি পাম্পের মালিক-শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।”
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমানের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এক সপ্তাহের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন সিলেটের জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ীরা। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো সমাধান না হওয়ায় আন্দোলনে নেমেছেন জ্বালানি তেলের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।
জ্বালানি খাতে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগীয় কমিটি; বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগীয় কমিটি; বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগীয় কমিটি; বাংলাদেশ এলপিজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগীয় কমিটি এবং সিলেট বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে সিলেট বিভাগীয় পেট্রলপাম্প, সিএনজি, এলপিজি, ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ গঠন করা হয়।