পা দিয়ে লিখে টানা চতুর্থবার জিপিএ-৫ পাওয়া অদম্য তামান্না আক্তার নূরার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে তারা তামান্নাকে অভিনন্দন জানান এবং সাহস হারাতে নিষেধ করেন। সাহস আর মনোবল থাকলে তুমি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে বলেও সাহস জোগান প্রধানমন্ত্রী।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় তামান্না আক্তার নূরা। তামান্না যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ফলাফলে এসএসসির মতো এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।
এর আগে তামান্না ২০১৯ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। একই ফল করেছিলেন পিইসি ও জেএসসিতেও।
তামান্নার বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার (ননএমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। তামান্নার ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লাহ তাজ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর ফোনের কথা নিশ্চিত করে ঝিকরগাছার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, তামান্না সম্প্রতি তার চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন।
তামান্না বলেন, “আমার চিঠি পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে কল দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করতে বলছেন।“
তামান্না আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমার এইচএসসি ফলাফলের কথা শুনে বলেন, ‘তুমি এগিয়ে যাও, আমি তোমার সাথে আছি। আমি তোমাকে যাবতীয় সহযোগিতা করবো। তোমার সাফল্যে আমি আনন্দিত।”
চার মিনিটের কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে সাহস হারাতে নিষেধ করেন। সাহস আর মনোবল থাকলে তামান্না অন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।