নওগাঁয় এক নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমানের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানি এবং অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, নওগাঁ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান মাসুদ রানার সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
ওই নারী উদ্যোক্তার করা অভিযোগে জানা যায়, চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে থেকে তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি ফোনে এবং বেশ কিছু চিঠির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং কিছু তথ্য ডিলিট করে দেন। চেয়ারম্যানের এমন প্রস্তাবে ওই নারীর কর্মক্ষেত্রে ও সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়েছে, এতে তার বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটেছে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৩ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ নওগাঁর উপপরিচালক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই নারী উদ্যোক্তা।
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, “সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আমাকে। তবে আমি আইনিভাবে লড়ব, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। এটা চক্রান্ত।”
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ নওগাঁর উপপরিচালক উত্তম কুমার রায় বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছি। এখন যিনি প্যানেল চেয়ারম্যান আছেন, তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।”