• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে বাড়ছে চুরি-ছিনতাই


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২, ১২:১৫ পিএম
ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে বাড়ছে চুরি-ছিনতাই

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যে হাসপাতালটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামেই অধিক পরিচিত। দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পূর্বে এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার ছিল, পরে ২০১৩ সালে ৭ তলা একটি ভবনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসহ আরও ২৫০ শয্যা বাড়িয়ে মোট ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়। উন্নত চিকিৎসার আশায় বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলাসহ অন্তত ৮ থেকে ১০টি জেলার রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।

হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিনের দালাল চক্রের পাশাপাশি ইদানীং বেড়েই চলছে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। রোগী কিংবা রোগীর স্বজন কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এর থেকে। হাসপাতালে বহিরাগত রোগীদের টিকিট কাউন্টারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুই মাসে অন্তত শতাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, বিভিন্ন অজুহাতে সারারাত বহিরাগতরা টহল দেয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। কেউ অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার, আবার কেউ ওষুধের দোকানের প্রতিনিধি। এতে হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকিতে পড়েছে। এরাই সুযোগ বুঝে চুরি কিংবা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছেন।

কয়েকদিন আগে রাতে মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে কামরুল নামের এক রোগীর স্বজনের মোবাইল চুরি হয়। তার কয়েকদিন আগে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা শিউলী বেগম নামের আরও একজনের মোবাইল চুরি হয়।

ভুক্তভোগী কামরুলের স্বজনরা জানান, তিনি সারারাতই প্রায় সজাগ ছিলেন। শেষ রাতে আধা ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলেন। পরে আর মোবাইল খুঁজে পাননি।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসা নিতে আসা নারীদের টার্গেট করে চোরদের উপদ্রব বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন সময়ে সেবা নিতে এসে শুধু এই হাসপাতাল থেকেই অর্ধশতাধিক নারীর স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল খোয়া গেছে। অনেক সময় হাতেনাতে চোর ধরা পড়ার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়সারা মনোভাবের কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে আসা এক নারী। ছিনতাইকারীরা লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, “হাসপাতালে কিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনছি। তবে ভুক্তভোগী কোনো রোগী কিংবা রোগীর স্বজন আমাদের লিখিত কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়াটা একটু সমস্যা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের এ ব্যাপারে বারবার সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।” 

Link copied!