চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ভাইকে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জেলার দর্শনা পৌরসভার মোহাম্মদপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২২ অক্টোবর) ভোরে বাড়ির পাশের বেগুন ক্ষেত থেকে মনজুরা খাতুন (৩২) নামের ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মনজুরা খাতুন দর্শনা পৌরসভার মোহাম্মদপুর মহল্লার মৃত আরমান আলীর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন জানান, শনিবার রাত ৮ টার দিকে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত মনজুরার ভাই আলমগীরকে (৪২) ধরে বাড়ির পাশের মাঠে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় মনজুরা ভাইকে বাঁচাতে চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা আলমগীরকে ছেড়ে মনজুরাকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত আলমগীরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মনজুরা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে রোববার ভোরে বাড়ির পাশের বেগুন ক্ষেত থেকে মনজুরার গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
সকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ নাজিম আল আজাদ, দামুড়হুদা সার্কেলের পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ নাজিম আল আজাদ বলেন, “আমরা এই মার্ডারের ঘটনা তদন্ত করছি। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই এবং সিআইডির ক্রাইমসিন টিমকে ডাকা হয়েছে। ওরা এসে লাশের আলামত সংগ্রহ করবে। এরপর লাশ মর্গে পাঠানো হবে।”
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর দর্শনা থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পারিবারিক কলহে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে। অধিকতর তদন্ত করে খুব শিগগির প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলমগীর এই প্রতিবেদককে জানান, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এর আগে তারা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি থানায় একটি জিডি করেছেন।
অপরদিকে নিহত মনজুরা খাতুনের মা আরিফা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।