• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যার চেষ্টা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ১১:২৬ এএম
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যার চেষ্টা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলা সদরের আল হেলাল মোড়ে যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান। ওই স্থানে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ ম্যালাকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, ছাত্রলীগ সদস্য শাহাবুদ্দিন সিহাব, রুহুল আমিন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে তার বাঁ পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান গুরুতর জখম হয় এবং অচেতন হয়ে পড়লে তাকে সড়কে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক সুমন বিশ্বাস উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ ঘটনায় পৌর শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমতলী চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় আমতলী চৌরাস্তায় শতাধিক পরিবহন গাড়ি আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের আশ্বাসে আধা ঘণ্টা পর অবরোধকারীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়।

মোয়াজ্জেম খানকে বরিশাল নেওয়ার পথে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “ছাত্রলীগ নেতা সবুজ ম্যালাকার, মো. ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, শাহাবুদ্দিন সিহার, সুমন প্যাদা, রাকিব প্যাদা ও রুহুল আমিনসহ ১২ থেকে ১৫ জন আমাকে কুপিয়েছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন খন্দকার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

Link copied!