• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘পুলিশে স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র ঘাপটি মেরে আছে’


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৯:৪১ এএম
‘পুলিশে স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র ঘাপটি মেরে আছে’

স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র পুলিশ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তিনি আরও বলেন, “জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতাবিরোধী লালন ও বাস্তবায়নকারী এএসপি মহরম আলীকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে, শুধু বদলি করলেই চলবে না।”

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসব কথা বলেন।

ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, “বরগুনার ছাত্রলীগের ওপর কতিপয় বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতাবিরোধী লালন ও বাস্তবায়নকারী দায়িত্বহীন পুলিশ যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা সারা পৃথিবীতে বিরল। এ রকম দায়িত্বহীন পুলিশ কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি নয়, এদের স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনে জামায়াত-শিবির স্বাধীনতাবিরোধীচক্রের একটা অংশ ঘাপটি মেরে বসে আছে, এদের চিহ্নিত করে চাকরি থেকে অচিরেই বরখাস্ত করা না হলে মুক্তিযুদ্ধের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।”

ছাত্রলীগের ওপর নির্মম হামলাকারীদের অতি দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন শমভু।

ছাত্রলীগের কমিটি প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “কাউন্সিলবিহীন ঘোষিত বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটির মতো এত নোংরা, একটা উচ্ছৃঙ্খল, এত বাজে কমিটি স্বাধীনতার পর থেকে আর কোনো দিন এ রকম কোনো কমিটি হয়নি। এই কমিটির মাধ্যমে বরগুনায় যত অঘটনের সৃষ্টি হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, তিনি নিজের হাত দিয়ে সাইন করে এই কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করতে। এই কমিটি জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ কোনো অঙ্গসংগঠনই মেনে নেয়নি এবং নিতেও পারবে না।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “এএসপি মহরমকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য আরও পাঁচজনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”

এএসপি মহরম সম্পর্কে বলেন, “তিনি জামায়াত-শিবির রাজাকার পরিবার থেকে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করেছেন, সেখানে সরাসরি জামায়াত-শিবির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এএসপি মহরমের বাবা সরাসরি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মহরমকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা না হলে বরগুনার গণ-আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

সমাবেশ শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এএসপি মহরমের কুশপুত্তলিকা পোড়নো হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও গণ-সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের একাংশসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
 

Link copied!