• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ছাত্রলীগের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ০৩:২০ পিএম
ছাত্রলীগের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি কে এম এহসান উল্লাহ।

অতিরিক্ত ডিআইজি কে এম এহসান উল্লাহ জানান, ছাত্রলীগের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় সেখানে উপস্থিত পুলিশের ভূমিকা বিষয়টি তদন্তে বরগুনা জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কমিটির কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

সংসদ সদস্য শম্ভুর অভিযোগ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, “ঘটনার পর আমি বরগুনা গিয়েছিলাম। সেখানে কী ঘটেছে ডিআইজি স্যারের নেতৃত্বে আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এমপি সাহেব মুরুব্বি মানুষ। তার সাথে যদি পুলিশের কেউ অশোভন আচরণ করে থাকে তবে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এদিকে এ ঘটনায় বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর বরখাস্তসহ বিচারের দাবি করেছেন‌ বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

শম্ভু বলেন, “পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যে গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাকে তারা চিনতে পেরেছে। আমি বলেছিলাম, যে ভাঙচুর করেছে তাকে দেখিয়ে দিন। আমি তাকে আপনাদের হাতে সোপর্দ করব। আসলে তাদের (পুলিশের) উদ্দেশ্যই ছিল ছাত্রলীগের ছেলেদের মারবে। আমি তাদের মার ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওখানে এত পুলিশ আসছে যে সেখানে কমান্ড শোনার মতো কেউ ছিল না।”

এমপি আরও বলেন, “১৫ আগস্টের দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। ওখানে পুলিশ কর্মকর্তা মহরম ছিলেন। তিনি অনেক ভুল করেছেন। আমরা চাই তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখুক এবং তাকে বিচারের আওতায় আনুক। সে এখানে অপরাধ করছে। আমি সেখানে উপস্থিত, আমি তাকে বললাম কোন পিডাপিডি (মারধর) দরকার নাই। পুলিশের গাড়িতে ইট নিক্ষেপকারীর নাম বললে তাকে আমরা পুলিশের কাছে সোপর্দ করব। তার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী) ইচ্ছে ছাত্রলীগের কর্মীদের মারবে। আমার মনে হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী মূলধারা বাইরের লোক।”

এদিকে আলোচনা সভার পরপরই নবনির্বাচিত জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, “পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আমরা শোক র‌্যালি নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সামনে সড়ক প্রদক্ষিণের সময় দুষ্কৃতকারীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর হয়।”

জেলা সভাপতি আরও বলেন, “আমি জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই, তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী সম্পৃক্ত থাকলে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

Link copied!