কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল বাসটি কয়েক ঘণ্টা তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ভেতরে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাট চালায়। এ সময় এক নারী যাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে বাসটি জেলার মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাত দল বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষণের শিকার নারীকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাসের যাত্রীরা জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রীবেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল বাসটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বাসে থাকা সব যাত্রীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করে। এ সময় বাসের ভেতরেই এক নারী যাত্রীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বিরতি দেয়। রাত দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহন করা ১০-১২ জন তরুণ বাসে উঠে। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণরা অস্ত্রের মুখে একে একে সব যাত্রীকে বেঁধে ফেলে। এরপর সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। বাসে থাকা এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। পরে বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে। বাসটি পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ঢিবিতে উল্টে দিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :