• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কপির ভালো ফলনে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২, ০৮:২৬ এএম
কপির ভালো ফলনে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফুল ও বাঁধাকপির ফলন ভালো হওয়ায় স্বপ্ন বুনছেন বগুড়ার শেরপুরের কৃষকেরা। কৃষকরা জানান, বীজ বপন থেকে ৭০-৭৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজারজাত করা সম্ভব। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা কপি চাষের বিকল্প নেই।

ফুল ও বাঁধাকপির বাজারে এবার চাহিদা এবং দাম অনেক ভালো। এবারও আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির কদর বেড়েছে শীতকালিন সবজি বাজারে।

চারা রোপণ করে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশক ও সেচ দিয়ে পরিচর্যা করলে ৭০-৭৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি আর বাঁধাকপি ঘরে তোলা সম্ভব। এবার বাজারে ফুলকপি আর বাঁধাকপির চাহিদা প্রচুর। বাজারে চাহিদা থাকায় বিক্রি করতেও ঝামেলা নেই চাষিদের। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই এসব সবজি ক্রয় করে নিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে মুনাফা পেয়ে বেশ খুশি শেরপুর উপজেলার ফুল ও বাঁধাকপির চাষিরা।

শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বাংড়া গ্রামের রেজাউল করিম বলেন, “আমি নিজেই ফুলকপি ও বাধা কপির জমিতে কাজ। আগাম জাতের ১ বিঘা জমি চাষ করেছিলাম। সেখানে ১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। আমি সেখানে ৫২ হাজার টাকার বিক্রয় করেছি। সেই জমিতে আবার নতুন করে ফুলকপি চাষ করেছি। অল্প কয়েকদিনের মধ্য ফল তুলব। আশা করছি এ বছর মোট সোয়া দুই বিঘা জমিতে এক লাখ টাকার অধিক লাভ হবে।”

খামারকান্দ্রি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের কৃষক হারেজ বলেন, “এক বিঘা জমিতে চার হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতিটি ফুলকপি ৩-৫শ গ্রাম ওজনের হয়েছে। কিছুদিন আগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে জমিতেই বিক্রি করছি। বর্তমানে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে ক্ষেতেই বিক্রি করছি। আশা করছি খরচ বাদে ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ হবে।

এছাড়া কৃষক জাফরুল ইসলাম, মোস্তাক আহম্মেদ ও আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “কিছুটা দেরিতে বাঁধাকপি চাষ করেছি। প্রতিটি চারার পেছনে খরচ হবে ২ টাকা। কপি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বাজার ধরতে পারলেও মুনাফা হবে। আশা করছি ভালো বাজার পাব এবং মুনাফাও আসবে।”  

শেরপুর উপজেলার উদ্ভিদ মাসুদ আলম বলেন, “এ বছর উপজেলায় ফুলকপি ১৪০ হেক্টর ও বাধাঁকপি ৫০ হেক্টর চাষ আবাদ হয়েছে। কৃষককে রোগবালাই থেকে মুক্ত রাখতে সার্বিক সহয়োগিতা ও তাদের ভালো ফসক উৎপাদনে সব সময় যোগাযোগ করা হয়েছে। যেন তারা ফসল উৎপাদন করে লাভবান হতে পারেন।”

শেরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, “বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে কৃষকেরা আগাম জাতের বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেন। এবার আবহাওয়া ও বাজার দুটিই ভাল থাকায় সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ফুলকপি ও বাঁধাকপির বেশ চাহিদা বাজারে। বিক্রিতেও ঝামেলা নেই চাষিদের।”

Link copied!