বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় পুলিশের মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়ে ওয়াকিটকি, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, “গত ৭২ ঘণ্টায় উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও কোনাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে পুলিশের লুট হওয়া এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, ৩টি মোবাইল, দুটি মানিব্যাগ, একটি ওয়াকিটকি, একটি পুলিশের ইউনিফর্ম, একটি ক্রেডিট কার্ড, একটি আইডি কার্ড, নগদ ৬ হাজার ২০০ টাকা ও দুটি কালো ব্যাগ এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি বার্মিজ চাকু ও একটি চাপাতি জব্দ করা হয়।”
আটকরা হলেন, সিরাজগঞ্জ শহরের রায়পুর উত্তরপাড়া মহল্লার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে ডাকাত সর্দার তুষার আহম্মেদ ওরফে ইউসুফ খান ওরফে অন্তর (২২), একই জেলার চন্ডিদাসগাতী গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৪), চরমালসাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আব্দুল লতিফ খান ওরফে নিকি (২১), পুর্বমোহনপুর গ্রামের বাবু কসাইয়ের ছেলে ইনামুলক হক আশিক (১৯), সয়াধানগড়া গ্রামের মৃত কিসমত আলী শেখের ছেলে আব্দুল মোতালেব ও চক শিয়ালকোল গ্রামের মৃত ফটিকের ছেলে সোহেল রানা (২৮)।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ অক্টোবর রাতে সোনাতলা থানার এসআই আব্দুল খালেক ও কনস্টেবল আবুল কালাম ঢাকা থেকে রুদমিলা আক্তার রিশা নামে এক ভিকটিমকে উদ্ধারের পর তার চাচা শহিদুল ইসলামকে নিয়ে বগুড়ায় রওনা হয়। মাইক্রোবাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হবার পর কড্ডা এলাকার ১৭নং ব্রীজের ৪০০ গজ পূর্বে পৌছলে ডাকাত সর্দার তুষারের নেতৃত্বে ৬ জনের একটি দল মাইক্রোবাসের পেছনে পাথরের ঢিল ছুড়ে। এতে গাড়ি গ্লাস ভেঙে ঢিলটি শহিদুল ইসলামের মাথায় লাগে। এতে তিনি আহত হওয়ায় গাড়ি থামানো হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গাড়ি থামালে অতকির্তভাবে ডাকাতদল তাদের ওপর হামলা চালিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। মামলার পরই অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে পুলিশের তিনটি টিম কাজ শুরু করে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ডাকাতকে আটকসহ মালামাল জব্দ এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মহাসড়কে ৬টি ডাকাত দল প্রায় ৮টি পয়েন্টে বিভিন্ন সময় ডাকাতি করে থাকে। তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। অচিরেই ওই ব্যক্তিদের আটক করা হবে। এছাড়াও মহাসড়কে ডাকাতিরোধে টহল টিম বাড়িয়ে ৮টি টহল টিম জোরদার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।







































