যতদিন শারীরিক স্বক্ষমতা থাকবে, ততদিন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, “নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশের এমন কোনো শক্তি নেই শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাতে পারে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার রামগতি আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা ২০০১-৬ সাল পর্যন্ত গণহত্যা করেছিল। এখন চাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়া যায় কি না।”
এর আগে, সোমবার সকালে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করতে যান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন।
আন্দোলনের নামে বিএনপি সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে জানিয়ে হানিফ বলেন, “তাদের নেতা তারেক রহমান স্বীকৃত সন্ত্রাসী। বিএনপির সময় দেশে হিযবুত তাওহীদ, জেএমবিসহ জঙ্গি সংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলা ভাই-আবদুর রহমান তাদেরই সৃষ্টি। তারাই রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম সন্ত্রাস কমে গেছে। কিন্তু না লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে, তাদের সন্ত্রাসীরা এতদিন ঘাপটি মেরে বসেছিল। আন্দোলনের নামে সারা দেশে এখন বিএনপির সন্ত্রাসীরা মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা একের পর এক সংঘাত, সহিংসতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। এ যাবৎ যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার প্রত্যেকটির জন্য বিএনপি দায়ী।”
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সাবেক উপকমিটির নেতা মমিন পাটওয়ারী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুল্যা আল মামুন প্রমুখ।





































