রনির স্বীকারোক্তি

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে হত্যা


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৯:০৫ এএম
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি (৩০)।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১৬৪ ধারায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এমদাদের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রনি। একই দিন রাত ৯টার দিকে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অদিতার ওপর গৃহশিক্ষক রনির লোলুপ দৃষ্টি ছিল। সময়-সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেলের মধ্যে অদিতাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রনি।

অভিযুক্ত রনি নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার লাতু কাউন্সিলরের বাড়ির খলিল মিয়ার ছেলে।  

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তদন্তে নেমে জানা গেল, রনি নামে অদিতার এক গৃহশিক্ষক ছিলেন। অদিতা তার কাছে পড়তে চাইত না। একপর্যায়ে বদল করা হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির বাসায় যায় পুলিশ। রনিকে জিজ্ঞাসাবাদকালে তার পরনের জামায় ফোঁটা ফোঁটা রক্তের দাগ দেখা যায়। গলায় আঁচড়ের দাগ। ঘাড় এবং মাথায়ও একই রকম দাগ। রনি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাচ্ছিল। সন্দেহ বাড়তে থাকে। রনির প্রতিটি উত্তর যাচাই করা হচ্ছিল। কিন্তু বারবার প্রমাণ হচ্ছিল তিনি মিথ্যা বলছেন।

ওসি আরও জানান, আদালতে উপস্থাপন করে রনিকে ৩ দিনের রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে তিনি সব স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার অদিতাকে ঘরে একা পেয়ে তার বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করেন। যৌন লালসা চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়ে এবং বিষয়টি বাইরে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি অদিতাকে হত্যা করেন। রনি নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!