রাজশাহীতে পঞ্চম আন্তজাতিক সর্প দংশন সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা.আবু শাহীন। সভায় সর্প দংশন বিষয়ে বিষধর সাপ চিকিৎসা পদ্ধতি ও সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে সর্প দংশন নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর তথ্য তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, ২০২১ সালে মোট ৫৮৭ সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ১৭৮ জন বিষধর (কোবরা, কেউটে ১৪১ জন এবং রাসেল ভাইপার-৩৭ জন) এবং মৃত্যু হয় ৫৩ জনের (কোবরা, কেউটে- ৪৩ জন এবং রাসেল ভাইপার-১০ জন)।
বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার নিয়ে চিকিৎসা জনিত আলোচনা করা হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, এতে মৃত্যর হার প্রায় ৩০%। এছাড়াও চিকিৎসার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসমূহ হাসপাতালে করা হয় এবং ‘সর্প দংশন ক্লিনিক’ অত্র হাসপাতালে চালু করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীসহ রোগীর স্বজনদের সর্প দংশনের ব্যাপারে সচেতনতার জন্যও আলোচনা করা হয়।
চিকিৎসকেরা জানান, সর্প দংশনে গ্রামীণ চিকিৎসা রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তাই কাউকে যদি সাপে কামড় দেয় তাকে দ্রত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধ ২৪ ঘণ্টা ফ্রি দেওয়া হয়।






































