• ঢাকা
  • সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭
পাবনা মানসিক হাসপাতালে

ঠিকাদারের মামলা খারিজ, আসছেন নতুন পরিচালক


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২, ০৯:৫৬ এএম
ঠিকাদারের মামলা খারিজ, আসছেন নতুন পরিচালক

পাবনা মানসিক হাসপাতালে (পামাহা) খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে পাবনা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এই মামলাটি খারিজ করে দেন।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েও কোনো সমাধানের কোন আশ্বাস না পেয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় নিজস্ব ক্ষমতা বলে খাবার ও আর্থিক সংকট দেখিয়ে শনিবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে ননপেইড রোগী ভর্তি বন্ধ এবং চিকিৎসাধীন ননপেইড রোগীদের বাসায় পাঠানোর নির্দেশ জারি করেন।

এই নির্দেশনা জারির পর গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পেলে টনক পড়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। সোমবার সকালে মৌখিকভাবে এবং দুপুরে জরুরি ফ্যাক্স বার্তায় খাবার ও আর্থিক সংকট নিরসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জারিকৃত আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আদেশ প্রত্যাহারের পর বিকেলে আদালত থেকে ঠিকাদারের দায়ের করা মামলাটি খারিজ করেন বিজ্ঞ বিচারক। অন্যদিকে একই সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে সরিয়ে নতুন পরিচালক পদায়ন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পামাহার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় জানান, সোমবার বিকেলে জেলা পাবনার সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। এর ফলে রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য দরপত্র আহবানের আর কোনো বাধা থাকলো না।

এদিকে হাসপাতালের রোগী ভর্তি বন্ধে ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক পদে পরিবর্তন করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব থাকা ডা. রতন কুমার রায়কে সরিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাফকাত ওয়াহিদকে পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) পদে পদায়ন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-২ অধিশাখার উপ-সচিব জাকিয়া পারভীন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রতন কুমার রায় বলেন, “হাসপাতালের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে হয়তো আমাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন যিনি আসছেন অবশ্যই তাকে স্বাগত জানিয়ে আমি আমার স্বপদে বহাল হবো।”

পাবনা মানসিক হাসপাতালের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. শাফকাত ওয়াহিদ গণমাধ্যমকে বলেন, “হয়তো সংকটময় অবস্থা দেখেই আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেহেতু সংকট নিয়ে আমি কিছু জানি না তাই তেমন কিছু বলতে পারছি না। দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি কেমন সেটা দেখে ব্যবস্থা নিতে পারবো।”

তথ্যমতে, পাবনা মানসিক হাসপাতালে ৫০০ শয্যার বিপরীতে ৪৮০ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের মতো পেইড বেডে ভর্তি। বাকি রোগী ফ্রি বেডে। পেইড বেডে রোগীর থাকা-খাওয়ার খরচ রোগীর স্বজনরা বহন করেন। প্রতিমাসে পেইড বেডের রোগীদের জন্য ৮ হাজার ৫৫২ টাকা হাসপাতালে জমা দিতে হয় রোগীর স্বজনকে। ননপেইড রোগীকে কোনো টাকা দিতে হয় না। তাদের খরচ সরকারি তহবিল থেকে সংগ্রহ করা হয়।

এর আগে গত বছরের ১৪ জুন রোজ এন্টারপ্রাইজ নামে পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে দ্রব্যের নাম উল্লেখ করা জটিলতা নিয়ে পাবনা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত ২৯ জুন ২০২১ আদালত সার্বিক বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করলে শুরু হয় জটিলতা। 

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!