পাবনার সাঁথিয়ার চাঞ্চল্যকর রাজা প্রামাণিক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত রাজা প্রামাণিক উপজেলার শ্রীধরকুড়া গ্রামের মৃত সিরাজ প্রামাণিকের ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জয়নাল আবেদীন (২৫), নিহত রাজার পূর্বপরিচিত অনিক হোসেন (১৮), হৃদয় হোসেন (১৯), মামুন হোসেন (২৩) ও আশিক ফকিরকে (২৫)। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, রাজা প্রামাণিককে চলতি বছরের ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় জয়নালের সিএনজি করে অনিক ও হৃদয়ের সাথে রাজা পিকনিকে খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে কাশিনাথপুরের বরাটের দিকে যান। নির্ধারিত সময়ে রাজা বাড়ি না ফিরলে তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন খোঁজ শুরু করেন।
ঘটনার তিনদিন পর ২০ জুলাই সকালে সাঁথিয়ার সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারি ক্যানেলের কচুরিপানার মধ্য থেকে রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাশিদা খাতুন পরদিন ২১ জুলাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ জয়নাল, হৃদয় ও পিয়াসকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকা, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে অভিযান চালিয়ে মামুন খান ও আশিক ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামুন খান তার জবানবন্দিতে জানান, রাজা প্রামাণিক মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মাদক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হৃদয় ও অনিকের সঙ্গে ঝামেলা ছিল তার। এদিকে মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাঁথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে রাজা ছিলেন বলে তাদের ধারণা।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে মাদক খাওয়ার কথা বলে রাজা প্রামাণিককে বাড়ি থেকে যেনে নেন অনিক ও হৃদয়। পরে জয়নালের সিএনজি যোগে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারি ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেলের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখেন আসামিরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইমতিয়াজ হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামি মামুন খান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।








































