ফরিদপুরে এক কিশোরী ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলার পর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার এমারত মেম্বারের ডাঙ্গি গ্রামের শেখ সুজন (২৩), একই এলাকার ফজল শেখ (৫৫), ফরহাদ পত্তনদার (৫০), কামাল বেপারী (৫০) ও শেখ শামু (৫৮)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফরিদপুর সদর উপজেলার এমারত মেম্বারের ডাঙ্গি গ্রামের শেখ সুজন (২৩) ওই কিশোরীকে পাঁচ মাস আগে ধর্ষণ করেন। কয়েক মাস পর কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পারে পরিবার। তখন সুজনের পরিবার প্রভাব খাটিয়ে সালিস বসায়।
কিশোরীর মা জানান, গর্ভপাত করিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করে সুজনের পরিবার। তারা সালিসের নামে ভুয়া কাবিননামায় বিয়েরও আয়োজন করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে তার মা ১০ জনের নামে মামলা করেছেন। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি সুজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচজনকেই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।








































