বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সমাবেশে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে প্রতিবাদ সমাবেশ পণ্ড হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোডস্থ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন যুবলীগের সাবেক নেতা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও দিলালপুরের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে মো. রনি, যুবলীগকর্মী রাফিন, তমাল, ঘানা, মানিক। রনিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিন বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা যুবলীগ। বিকেল ৫টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বাণীবিণা হল মোড়, চার মাথা মোড়, বড় বাজার, চাপা মসজিদ হয়ে আব্দুল হামিদ রোডসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়ে শুরু হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবাদ সমাবেশের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে শুরুতেই যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের গ্রুপের রনির সঙ্গে এই গ্রুপের যুবলীগ নেতা বাপ্পী ও লগবাবুর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বেশ কিছুক্ষণ কিল-ঘুষি-লাথি চলতে থাকে। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াও হয়। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মাইকে সবাইকে সুশৃঙ্খল থাকার অনুরোধ করেন নেতারা। এরপরও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি প্রতিবাদ সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি বলেন, “আমার বিষয়টি জানা নেই। বিশাল সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মাঝে হয়তো কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি আমি জানি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষ করেছি।”
পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান মিন্টু বলেন, “২১ আগস্ট উপলক্ষে জেলা যুবলীগের ব্যানারে একটি প্রোগ্রাম ছিল, সেখানে যুবলীগেরই কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তেমন কিছু নয়, নিজেদের মধ্যেই ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে।”
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, “বিষয়টি তেমন নয়। শুনেছি, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিকের গ্রুপের রনি ও বাপ্পীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি পাবনা পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তারপরও কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”








































