বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া সুনামগঞ্জের দুই ছাত্রীকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩১ জুলাই) তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধার দুই ছাত্রী হলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশ গাওয়ের আব্দুস সোবহানের মেয়ে লায়লা সোবহান ঝিলিক। ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়ারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সানজু মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার শাহজাদী (২২)।
পুলিশ জানায়, দুই ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার ১১ দিন পর ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যাওয়ার পথে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মনিরুজজামান ও বিশ্বম্ভরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন সরকার নারায়ণগঞ্জ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসেন।
এর আগে ২১ জুলাই সকালে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুরে লায়লা সোবাহান ঝিলিক ও সুমা আক্তার শাহজাদী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর থানায় পৃথক দুটি জিডি ও করা হয়। ঝিলিককে উদ্ধারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ঝিলিক জানিয়েছেন, তিনি মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু মা মোবাইল কেনার টাকা না দিয়ে তাকে মারধর করে। এই কারণে অভিমান করে বান্ধবী শাহজাদীর সঙ্গে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকায় চলে যান।
অপর দিকে বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে কলেজছাত্রী সোমা আক্তার কাউকে কিছু না বলে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বান্ধবী ঝিলিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালান।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনার পর থেকে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।





































