জয়পুরহাটে ভোলা হত্যা মামলায় ছয় ভাইসহ ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক নূর ইসলাম এ রায় দেন।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার হরেন্দ্রা গ্রামের আব্দুল মান্নান, ছানোয়ার হোসেন, সাহাজ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ও রিয়াজ উদ্দিন। তারা সম্পর্কে আপন ভাই।
এছাড়া একই গ্রামের রমজান আলী ও আব্দুল ওহাব, ফারুক হোসেন, দুলো ও আব্দুল খালেক, শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম এবং আনিছুর রহমান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ৫ মে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দ্রা গ্রামে ভোলাসহ আপন চার ভাই ট্রাক্টর নিয়ে বাড়ির অদূরে একটি মাঠে জমি চাষ করতে যান। সেদিন রাত দেড়টার দিকে ওই মাঠে মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের দিকে এগিয়ে আসে।
একপর্যায়ে তারা ভোলাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। সে সময় অন্য ভাইয়েরা চিৎকার দিলে তাদের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলাকে পাঁচবিবির মহীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে, জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই দোলা মণ্ডল বাদী হয়ে পর দিন ৬ নভেম্বর পাঁচবিবি থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক এসআই আব্দুস সাত্তার ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি এবং যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বিচারক এ রায় দেন আজ।
বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল আর আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ছিলেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।