স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ দিনের রিমান্ডে প্রাইভেটশিক্ষক


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৩ দিনের রিমান্ডে প্রাইভেটশিক্ষক

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রাইভেটশিক্ষককে তিন দিনের রিমান্ড এবং অন্য তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রধান অভিযুক্ত আবদুর রহিম রনির ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ এমদাদ রনির তিন দিনে রিমান্ড ও অন্য আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নিহত ওই স্কুলছাত্রীর নাম তাসমিয়া হোসেন অদিতি (১৪)। সে স্থানীয় নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী কিশোর ইসরাফিল, তার ভাই সাঈদ ও সাবেক প্রাইভেটশিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে আটক করে। রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় দেখে তাকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে ওই স্কুলছাত্রী রনির কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে অন্য স্থানে শুরু করে। রনি ওই স্কুলছাত্রীর বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে ২টার মধ্যে কোনো একসময় ওইছাত্রীর বাসায় গিয়ে ধর্ষণ ও পরে ঘটনা দামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরের আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন। কিন্তু ঘরের কোনো মূল্যবান জিনিস বা স্বর্ণালংকার নেননি রনি।

এসপি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পারিবারিক বা অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রনি ও ইসরাফিলকে হত্যা মামলা ও সাঈদ ও ইমামকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত, ডিএনএ ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অদিতার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটির গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক তিনজনকে আটক করে।

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!