রাজধানীর গুলশানে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় হোটেল আমারি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজউক। এছাড়া অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য নাইস সেলুন ও বিউটি পার্লার নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়। অনুমতি না থাকায় উডেন ফার্নিচার নামে আরেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলাগালা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এই অভিযান পরিচালনা করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।
রাজধানীর গুলশানের ৪১ নম্বর সড়কের ৭/এ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নাইস সেলুন এবং বিউটি পার্লারে অভিযান চালায় রাজউক। সেখানে অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়ায় নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়। সেইসঙ্গে পার্লারটি সিলগালা করে দেয় রাজউক।
একই ভবনে পাওয়া যায় উডেন ফার্নিচার নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবাসিক ভবনের অনুমতি থাকলেও সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় সেটিও সিলগালা করেন রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সড়কের হোটেল ঢাকা আমারিতে যায় আভিযানিক দল। আবাসিকের অনুমোদন থাকা ভবনটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ১৪ তলার অনুমোদন থাকলেও তারা ১৭ তলা ভবন করায় হোটেলটি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ সময় হোটেলে অবস্থানরত অতিথিদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অনিয়ম প্রতিরোধে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার।