বাসে আগুন-ককটেল নিক্ষেপকারীকে গুলির নির্দেশ

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম

রাজধানীতে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলা প্রতিরোধে প্রয়োজন হলে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। রবিবার বিকেলে বেতার বার্তার মাধ্যমে তিনি মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের এ নির্দেশ দেন।

ডিএমপির অপরাধ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, “যদি কেউ বাসে আগুন দেয়, ককটেল মেরে জীবননাশের চেষ্টা করে—তাকে থামাতে গুলি করার কথা আমি ওয়্যারলেসে বলেছি। ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার বিষয়ে আইনেও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।”

গত ১০ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে বাসে আগুন দেওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে।

আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি এবং ৫ আগস্টের ঘটনার মামলার রায় ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে।

ডিএমপির একজন উপকমিশনার জানান, “পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ফাটিয়ে মোটরসাইকেলে পালানোর মতো পরিস্থিতিতে যাতে হামলাকারীকে থামানো যায়—এ বিষয়েই কমিশনার স্যার বলেছিলেন।”

তার মতে, বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে পুলিশ সদস্যরাই ঝুঁকির মুখে থাকেন, আর সেই ঝুঁকি বিবেচনা করেই নির্দেশটি দেওয়া হতে পারে।

বিকেলে ডিএমপি সদর দপ্তরে দেখা যায়, কর্মকর্তারা দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারার উল্লেখ করে আত্মরক্ষার অধিকার নিয়ে আলোচনা করছেন।

দণ্ডবিধির ৯৬ ধারা অনুযায়ী, আত্মরক্ষার্থে গৃহীত পদক্ষেপ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।

এর মাত্র কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ‘গুলিতে থামানোর’ নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়— সন্দেহভাজন কাউকে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া গুলি বা হত্যা করা সংবিধান ও মানবাধিকারবিরোধী।

শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার রাতেও ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।