ভালো আইন করলেই সব সমাধান হবে, তা না। আইনের পাশাপাশি নিজেদেরও ভালো হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের নয়, সেফ এক্সিট প্রয়োজন দেশের কিছু কাঠামো থেকে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অর্ডিন্যান্স-২০২৫ এর খসড়া নিয়ে এক সভায় এসব কথা বলেন আসিফ নজরুল। শনিবার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই সভা শুরু হয়। সভায় উপস্থিত আছেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘৭২-এর সংবিধানের ভালো-খারাপ, দুটি দিকই আছে। ভালো আইন হলেই খুব আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’
সেফ এক্সিটের প্রসঙ্গ টেনে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। বরং দেশের বেশ কিছু জায়গার ভয়াবহ কাঠামো থেকে থেকে সেফ এক্সিট জরুরি। তার মধ্যে অন্যতম মানবাধিকার কমিশন, একে শক্তিশালী করার প্রয়োজন। এটা আমাদের দায়িত্ব।’
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মানবাধিকার কমিশনে বসিয়ে রাখা হতো আগে, তাদের কাজই ছিল মানবাধিকার হরণ করা। জুলাই মাসে একজন কমিশনার জাতিসংঘে চিঠি লিখেন যে, দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন অপরাধ রোধে আইনকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে সঠিক কাজগুলো করে যেতে হবে, যেন মানুষ আর অবিচারের শিকার না হয়।’