ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও, পুলিশের বাধা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ‘ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও’ কর্মসূচি। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার এডিসি জাহাঙ্গীর। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি নামে একটি সংগঠন ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করতে নতুন বাজারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ সময় তাদের বাড্ডা লিংক রোডে আটকে দেওয়া হয়। পরে তারা আর আগায়নি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। 

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং খুনি হাসিনাকে ফেরতের দাবিতে জাগপা আয়োজিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও  কর্মসূচির মিছিল মেরুল বাড্ডা থেকে শুরু হয়ে গুলশান বাড্ডা লিঙ্ক রোড পৌঁছলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তাৎক্ষণিক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

জাগপা সহসভাপতি বলেন, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার দেখার জন্য হাজারো শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা অপেক্ষা করছে। হিন্দুস্তান রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হাসিনাকে ১ বছর ধরে আশ্রয় প্রদান করেছে। কথাবার্তা পরিষ্কার, খুনি হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে। সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে। অবৈধ পুশ-ইন বন্ধ করতে হবে। ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। ভূমি দখল বন্ধ করতে হবে, দখলকৃত জমি ফেরত দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে।

রাশেদ প্রধান বলেন, আমার দেশের সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, সচিবালয় সব জায়গায় শেখ হাসিনার আমলে হিন্দুস্তানি কর্মকর্তা ও ‘র’ এর এজেন্ট প্রবেশ করানো হয়েছিল। যা আজও অনেক জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে হিন্দুস্তানকে আর ছিনিমিনি খেলতে দিব না। সময় থাকতে হিন্দুস্তানকে সকল হিন্দুস্তানি কর্মকর্তা বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। নতুবা দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ অশান্ত হলে আরেকটা ৫ আগস্টের সৃষ্টি হবে। ভুলে গেলে চলবে না ৫ আগস্ট শুধুমাত্র ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের পরাজয় হয় নাই। একই সাথে হিন্দুস্তানেরও করুণ পরাজয় হয়েছে। 

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, মো. নিজামদ্দিন অমিত, ভিপি মু. মুজিবুর রহমান, মো. শামীম আক্তার পাইলট, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী প্রমুখ।