জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে এটি উপস্থাপন করবেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমি ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা।
২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারে গঠিত হয় কয়েকটি কমিশন।
তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাইয়ের যে ঐতিহাসিক ভিত্তি, তা এতে প্রতিফলিত হবে। এখানে আমরা কী অর্জন করতে চাই, সেটা স্পষ্ট হবে। জুলাইয়ের মধ্যে যে শক্তিগুলো ছিল, যতগুলো রাজনৈতিক দল ছিল, তারা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের অংশীজন। তাদের সবার আশা-আকাঙ্ক্ষা এতে স্থান পাবে।’
৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবে অভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল।
শফিকুল আলম বলেন, ‘৫ তারিখে, প্রধান উপদেষ্টার কথাও এসেছে, উনি এটা পড়বেন। আমরা সবাই, সব রাজনৈতিক দল যারা জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, সবাই উপস্থিত থাকবেন।’
২৬টি দফা রয়েছে ঘোষণাপত্রের খসড়ায়। জুলাই অভ্যুত্থানের পটভূমি, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-খুন, গণহত্যা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি এবং বৈষম্যহীন সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয় উঠে এসেছে।