‘গাজীপুরে আসন বাড়ছে, কমছে বাগেরহাটে’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম

গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন। এজন্য গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি। এছাড়া বাগেরহাটে ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় এ জেলা থেকে একটি আসন কমানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি।

বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আলাপকালে এসব কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল বলেন, “সবচেয়ে বেশি যেই আসনে ভোটার সেখানে একটি আসন বাড়ানোর জন্য বলেছে কারিগরি কমিটি। এছাড়া সবচেয়ে কম ভোটার যেই আসনে, সেখান থেকে একটি আসন কমানোর বিষয়ে প্রস্তাব করেছে কমিটি।”

আনোয়ারুল বলেন, “সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইন ২০২১ এর ২১/৬ ধারায় বলা হয়েছে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং আদমশুমারি এ তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এই সীমানাটা নির্ধারণ করতে হবে। তবে আদমশুমারি ২০২২ অনুযায়ী কিছু বিষয় আছে একটু অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের কাছে রয়েছে হালনাগাদ ভোটার সংখ্যা।”

তিনি আরও বলেন, “এছাড়া আমাদের ভোটার তালিকা ভিত্তিতে, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে কমিটি এভারেজ আসনভিত্তিক ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন। সেটি হলো ৪ লাখ ২০ হাজার সামথিং, অর্থাৎ ৩০০ আসনের এবার ভোটার সংখ্যা হলো ৪ লাখ ২০ হাজার। তারা ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে একটা গ্রেডিং করেছেন, সেটি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ভোটার কোন জেলায় এবং সবচেয়ে কম ভোটার কোন জেলায়। কারিগরি কমিটি ফাইন্ড আউট করেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোটার যে জেলায় সেই জেলায় একটি আসন তারা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন এবং সর্বনিম্ন ভোটার যে জেলায় সেই জেলায় একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করেছেন।”

তিনি বলেন, “টেকনিক্যাল কমিটির তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ভোটার হচ্ছে গাজীপুর। আর বাগেরহাট জেলায় সবচেয়ে কম। মানে বিশেষায়িত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা ভোটার সংখ্যা এবং জনসংখ্যা এনালাইসিস করে তাদের প্রস্তাব হচ্ছে যে বাগেরহাট একটি আসন কমবে, গাজীপুরে জনসংখ্যা ও ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে একটি আসন বৃদ্ধি পাবে।”

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “আমরা ৬৪ জেলার গড় ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করছি। সেটি হচ্ছে ৪ লাখ ২০ হাজার ধরলে এটার ওপরে আছে কিছু, নিচে আছে কিছু। দেখা গেছে ৪ লাখ ২০ হাজার এর ওপরের যেই আসনগুলো বা জেলাগুলো সেগুলোতে যদি একটা আসন আমরা বাড়াই শুধুমাত্র গাজীপুর জেলায় এই এভারেজের ওপরে থাকে। আর বাকিগুলো এভারেজের নিচে চলে আসে। যার কারণে বাকিগুলোর বাড়ানোর যে প্রস্তাব সেটি তারা দেয়নি আর এভারেজের নিচে যে কয়টা আছে শুধুমাত্র দেখা গেছে, বাগেরহাটেরটা কমাই তাহলে মোটামুটিভাবে এভারেজের কাছাকাছি থাকে।”