পুরান ঢাকার ঘটনায় গুরুতর অভিযোগ আনলেন সোহাগের স্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গুরুতর অভিযোগ আনলেন তা স্ত্রী লাকী বেগম।

লাকী বেগম বলেন, “সবাই চেয়ে চেয়ে দেখল, একটা মানুষকে কীভাবে মারতেছে! কেউ একটু সাহায্য করে নাই। এভাবে একটা মানুষ কি আরেকটা মানুষকে মারতে পারে! আমার তো সারা জীবন চোখের জল ফেলতে হবে। সন্তানদের নিয়ে সারাটা জীবন কীভাবে পার করব? শুরুতেই শেষ করে দিল।”

শনিবার (১২ জুলাই) বরগুনায় নিহত সোহাগের বাড়িতে এসব কথা বলেন তার স্ত্রী লাকী বেগম।

লাকী বেগমের অভিযোগ, তার স্বামীকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরও থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ বারবার থানায় ডেকে নিয়ে এজাহারের পরিবর্তন করেছে। এমনকি সোহাগের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে যাওয়ার পরে অদৃশ্য কারণে অনেক সময় পরে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লাকী বেগম বলেন, একটুও কাপড় ছিল না তার (সোহাগের) শরীরে, ওরা কি মানুষ! এমনভাবে মানুষকে মানুষ মারতে পারে। যারা আমার স্বামীকে এত কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ভবিষ্যতে যেন এমন করে কাউকে হত্যা করার আগে অন্তত দশবার ভাবে। একটা মানুষকে মেরে ফেললে একটা পরিবার শেষ হয়ে যায়। সন্তানরা বাবা ছাড়া হয়ে যায়, স্ত্রী স্বামী ছাড়া হয়ে যায়।

লাকী বেগম বলেন, “আমার ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি কোথায় যাব? আমাদের জন্য কিছু রেখে যেতে পারেনি। কীভাবে আমি সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ব? আমি কি ক্ষতি করেছি তাদের? তারা আমার স্বামীকে মেরে ফেলল! আমার সন্তান দুটি নিয়ে কোথায় যাব?”

এ সময় তিনি দেশের মানুষের কাছে তার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

নিহত সোহাগের স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ, মাহিনসহ এজাহারভুক্ত আসামিরা মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সোহাগ আসামিদের দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে মুঠোফোনে দোকানে ডেকে নিয়ে এসে মারধর করে ও চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে প্রকাশ্যে রাস্তার ওপরে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।