বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দাবি করেছেন। বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের নিচে মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আন্দোলন চলাকালে এ দাবি করেন তিনি।
আগামী মাস থেকে নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হচ্ছে। এবার প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মচারীরা পাবেন মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে এবং দশম থেকে বিংশ গ্রেডের কর্মীরা পাবেন ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা। এ সিদ্ধান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং এটি সরকারের বাজেট ঘোষণার অংশ হিসেবে এসেছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করা না হলে বৃহস্পতিবার তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর কোনো বেতনকাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।’
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের আট বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। আলোচনার নামে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আস্থা ভঙ্গ করেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা চাই আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক। এ ছাড়া যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা রয়েছেন, তাদের তাড়াতে হবে।’
এই নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারী, আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। অধ্যাদেশ বাতিল না হলে রোববার (২২ জুন) আরও বৃহত্তর আন্দোলন আসবে।’