বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন ইচ্ছা দেশে ফিরতে পারবেন এবং এ বিষয়ে তিনি সময়মতো সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১৩ জুন ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দুপুর ২টায় লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলে এই ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “এই ব্যাপারে আলোচনা করার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। তারেক রহমান যখনই ইচ্ছা করবেন উনি দেশে ফিরে যেতে পারবেন। সুতরাং এটার সিদ্ধান্ত উনিই নেবেন।”
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “জুলাই সনদ নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে দেশে। এ ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত আছে যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সংস্কারের ব্যাপারেও ঠিক একই উত্তর আমাকে দিতে হয় যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার এবং জুলাই সনদ দুইটাই করব, সবাই ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা আমি নিশ্চিত খুব কম সময়ের মধ্যে আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “সবাই নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটা করব। শুধু নির্বাচনের আগে নয়; নির্বাচনের পরেও বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা সবাই ঐকমত্য হয়েছি সেটা আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
[116368]
সংস্কার বিষয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সংস্কার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান আমরা সবাই একই কথা বলেছি। যেগুলোতে ঐকমত্য হবে সেগুলোই তো সংস্কার হবে, তাই না? সংস্কারের বিষয় তো একটা চলমান প্রক্রিয়া। এমন না যে সব সংস্কার একইসঙ্গে শেষ হয়ে যাবে। এটা নির্বাচনের আগেও কিছু সংস্কার হবে যেখানে ঐকমত্য হবে। নির্বাচনের পরেও সংস্কার অব্যাহত থাকবে।”