ঈদুল আজহার আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ঢাকা ছেড়েছিল লাখ লাখ মানুষ। এতে অনেকটা খালি হয়ে পড়ে ছিল পুরো ঢাকা। ছিল না কোনো কোলাহল, ছিল না কোনো যানজট। অবশেষে পুনরায় স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে এই ব্যস্ততম নগরী।
বুধবার (১১জুন) রাজধানীর কল্যাণপুর ও শ্যামলী ঘুরে দেখা গেছে, বিগত দিনগুলোর তুলনায় রাজধানীর সড়কে যানবাহন চলাচল ও মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে।
রাজধানীর সড়কের কোথাও নেই কোনো সেই চিরচেনা যানজট। বিভিন্ন গন্তব্যমুখীমানুষ চলাচলে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন। নেই অফিস সময়ে লোকাল গাড়ির গেটে ঝুলে যাত্রার চিত্রও।
রাজধানীর কোথাও কোন যানজটের চিত্র দেখা যায়নি। তবে বাস স্টপেজগুলোতে কোথাও কোথাও গাড়ির অপেক্ষায় যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও সড়কে নিজস্ব পরিবহন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার উপস্থিতি চোখে পরার মতো।
আলমগীর হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, “ছুটির এই কয়দিন তো ঢাকা শহরের স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পেরেছি। কিন্তু আবার কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকার যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থাই হয়ে যাবে। সবাই ঢাকায় চলে আসবে, আবার যানজট।”
হাবিবুর নামে একজন বলেন, “ছুটির পর থেকে এখন পর্যন্ত একদিনও রাস্তায় চলাচলে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পেরেছি।”
তিনি বলেন, ঢাকায় আবার সবাই ফিরে আসতে শুরু করেছে। কয়েকদিন পরে আবার আগের মতো অবস্থা হবে।
মুহিদুল ইসলাম নামের অন্য এক যাত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ছুটির সময় ঘুরতে ভালো লাগে। কোথাও কোনো যানজট থাকে না। গাড়িতে ঝুলতে হয় না। ঢাকা শহরটা সবসময় এমন থাকলে বেশ ভালোই হতো। মানুষের অনেক সময় বেঁচে যেত।
মালিবাগ থেকে প্রয়োজনে কল্যাণপুর এসেছিলেন মো. সোহাগ। তিনি বলেন, “গাড়িতে যাত্রী না থাকায় আসার সময় গাড়ি পেতে কিছুটা সময় লেগেছে। বিভিন্ন বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করেছে গাড়ি। তারপরও খুব কম সময়ের মধ্যে চলে আসতে পেরেছি। ছুটির দিনগুলোতে ঢাকা শহরে চলাচল করতে বেশ ভালোই লাগে।”
এদিকে, ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস ছিল বুধবার (৪ জুন)। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হয় টানা ছুটি। ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।