বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ১৫ মিনটে এ কম্পন অনুভূত হয়। ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৭ কিলোমিটার, উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ২০ কিমি পূর্বে। যার মাত্রা ছিল ৪.১।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অতি সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। একটির পর একটি ঝাঁকুনি অনেককে আতঙ্কিত করে তুলেছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এগুলো কি বড় ভূমিকম্পের ‘সিগন্যাল’? নাকি সাধারণ আফটারশক? ভূমিকম্পের কারণ কী, কেন বারবার এমন কম্পন হচ্ছে—এসব নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।
ঢাকায় ঘন ঘন ভূমিকম্প— কীসের ইঙ্গিত?
ঢাকা ভূমিকম্প-সংবেদনশীল অঞ্চলে অবস্থান করায় ছোট-বড় কম্পন নতুন নয়। কিন্তু কম সময়ের মধ্যে অনেকগুলো ভূমিকম্প কয়েকটি ইঙ্গিত দেয়—
ভূগর্ভে চাপ (Stress) জমছে: টেকটনিক প্লেটের সরে যাওয়া বা চাপ বৃদ্ধির ফলে ভূগর্ভে শক্তি জমতে থাকে। এই চাপ দীর্ঘদিন জমে বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
আফটারশকও হতে পারে: একটি বড় ভূমিকম্পের পর কিছুদিন ছোট ছোট কম্পন স্বাভাবিক। তবে এগুলো যদি একই উৎস থেকে আসে, সেগুলোকে আফটারশক ধরা হয়।
আবার ‘ফোরশক’ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে: কখনো ছোট কম্পনগুলো বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাসও হতে পারে, যাকে ফোরশক বলা হয়। তবে কোন কম্পন ফোরশক আর কোনটি আফটারশক—এটি আগে থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।
ভূমিকম্প কেন হয়? (কারণ ও ব্যাখ্যা)
টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ
পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠ কয়েকটি বড় প্লেট দিয়ে তৈরি। এই প্লেটগুলো সবসময় নড়াচড়া করে। বাংলাদেশের নিচ দিয়ে ভারতীয় প্লেট ও বার্মা প্লেট সরে যায় এবং একে অপরকে ঠেলে দেয়। ফলে বিশাল চাপ তৈরি হয় এবং সেই চাপ হঠাৎ মুক্ত হলেই হয় ভূমিকম্প।
ফল্ট লাইনের নড়াচড়া
বাংলাদেশের কাছে কয়েকটি প্রধান ফল্ট লাইন আছে—
এই ফল্টগুলোতে সামান্য নড়াচড়াও ঢাকায় কম্পন অনুভব করতে দেখা যায়।
ভূগর্ভে শক্তি সঞ্চয়
দীর্ঘদিন ধরে চাপ জমে থাকলে তা একসময়ে শক্তি হিসেবে বের হয়—এটাই ভূমিকম্প। ঢাকা ভূমিকম্পপ্রবণ তিনটি জোনের মাঝামাঝি অবস্থান করায় ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
এগুলো আফটার শক নাকি ফোরশক?
বিশেষজ্ঞদের মতে—
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—
ঢাকায় ভূমিকম্পের প্রভাব কেন বেশি হয়?
তাই ঢাকায় ৫ মাত্রার ভূমিকম্পও বড় ক্ষতি করতে পারে।
কী করা উচিত