বর্ষার দিনে ঘরোয়া ৭ টোটকাতেই মশা তাড়ান

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে এখন সাধারণ সমস্যা মশার উপদ্রব। মশা শুধু বিরক্তিকর নয়, নানা রোগের বাহকও। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি রোগ ছড়ায় মশার কামড়ে। বাজারে নানা ধরনের কয়েল, স্প্রে, অ্যারোসল পাওয়া গেলেও এর অধিকাংশেই রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা শিশু ও বড়দের শ্বাসযন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই মশা তাড়াতে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে চেষ্টা করাই নিরাপদ ও কার্যকর। নিচে মশা তাড়ানোর কিছু সহজ ও কার্যকর ঘরোয়া টোটকা তুলে ধরা হলো। 

লবঙ্গ ও নারকেল তেল মিশ্রণ
লবঙ্গের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। ১০-১৫টি লবঙ্গ গুড়ো করে ৫০ মিলি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ে লাগালে মশা ধারে কাছেও ঘেঁষে না। এটি প্রাকৃতিক রিপেলেন্ট হিসেবে কাজ করে।

লেবু ও লবঙ্গ পদ্ধতি
একটি লেবুকে মাঝখান থেকে কেটে এর মধ্যে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে দিন। এই লেবু ঘরের কোণায় বা জানালার পাশে রেখে দিলে মশা দূরে থাকে। এটি খুবই সহজ এবং সুগন্ধযুক্ত একটি পদ্ধতি।

তুলসী গাছ লাগান
তুলসী গাছ শুধু ধর্মীয় বা ঔষধি গাছ নয়, এটি মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকর। তুলসীর গন্ধ এডিস মশাকে দূরে রাখে। জানালার ধারে বা বারান্দায় তুলসী গাছ রাখলে মশা ঘরের ভেতরে আসতে চায় না।

নিম তেল ও কর্পূর
নিম তেল একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক এবং মশা তাড়াতেও উপযোগী। কর্পূরের সঙ্গে নিম তেল মিশিয়ে ঘরে ছড়িয়ে দিলে মশা পালিয়ে যায়। চাইলে মোমবাতিতে কয়েক ফোঁটা নিম তেল দিয়ে জ্বালাতে পারেন, এতে ঘর সুগন্ধি ও মশামুক্ত থাকবে।

পুদিনা পাতার ব্যবহার
পুদিনার গন্ধও মশার জন্য অপ্রিয়। পুদিনা পাতা থেঁতো করে ঘরের কোণায় রেখে দিলে মশা আসে না। চাইলে পুদিনা পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি স্প্রে করেও ব্যবহার করতে পারেন।

রসুনের গন্ধ
রসুনের গন্ধ মশা অপছন্দ করে। কয়েক কোয়া রসুন পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে স্প্রে করলে মশা দূরে থাকে। যদিও গন্ধ কিছুটা কষ্টকর হতে পারে, তবে এটি কার্যকরী পদ্ধতি।

সিট্রোনেলা অয়েল বা ইউক্যালিপটাস তেল
এই দুটি তেল প্রাকৃতিক মশা নিরোধক হিসেবে পরিচিত। এগুলোর কয়েক ফোঁটা পানি বা ডিফিউজারে মিশিয়ে বাতাসে ছড়িয়ে দিলে ঘর মশামুক্ত থাকে।